ক্যানভাস ম্যাগাজিন
বয়স বেড়ে যাওয়া আর বুড়োটে দেখানো
সমার্থক নয়। যদিও একটির সঙ্গে রয়েছে আরেকটির সম্পর্ক। তা ছিন্ন করে নিজেকে
তরুণ দেখানোর চেষ্টায় কতই না নতুন নতুন কৌশল আর উপাদান খুঁজেছি আমরা।
সেসবের তালিকা আর কার্যকারিতা হাজির করেছেন জাহেরা শিরীন
A তে ভিটামিন ‘এ’
অ্যান্টি এজিংয়ের পাওয়ারহাউস হিসেবে প্রসিদ্ধ রেটিনল। এর মূল উৎসই ভিটামিন
‘এ’। যা কোলাজেন শুধু সৃষ্টিই করে না, এর ক্ষতি সারাইয়েও সাহায্য করে।
ত্বকরঙের সমানুপাত বজায় রাখে। রক্ষাও করে। তাই রাতে রেটিনলের নাইট ক্রিমের
নিয়মিত ব্যবহার যেমন বয়স রুখতে সহায়ক, তেমনি সবুজ শাকসবজি আর ফলমূল সমৃদ্ধ
ব্যালেন্সড ডায়েট সরাসরি শরীরে ভিটামিন ‘এ’র জোগানদাতা। যা রুখে দেয় বয়সের
বাড়ন্ত ভাব। এ ছাড়া ভিটামিন এ যুক্ত মাল্টিভিটামিন আর সাপ্লিমেন্ট যথেষ্ট
কার্যকর।
এএইচএ
গ্লাইকোলিক কিংবা ল্যাকটিকের মতো আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডগুলো
এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে চমৎকার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বককোষের
কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে মৃতকোষ উৎপাদনের মাত্রা বাড়ে। এর পরতে ঢাকা পড়ে
যায় তারুণ্যোজ্জ্বলতা। সে ক্ষেত্রে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডে তৈরি
ক্লিনজার, এক্সফোলিয়েটর আর ময়শ্চারাইজার ত্বককোষের কার্যক্ষমতা বাড়াতে
সাহায্য করে। মৃতকোষ সরায়। বের করে আনে ঝকঝকে নতুন ত্বক।
ওয়্যারড্রোব: সিকোসো
B তে বিউটি স্লি প
বয়স রোখার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। কিন্তু মিলে যায় বিনা মূল্যে। ভালো ঘুমের
মাধ্যমে। এর অভাবে শরীর থেকে কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোন নির্গত হয়, যা
কোলাজেনের প্রাকৃতিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, হিউম্যান
গ্রোথ হরমোন তৈরিতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত রাতে ঘুমানোর পর
নিঃসৃত হয়। সারা দিনের ধকলে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককোষ সারাইয়ে সাহায্য করে। তাই
ঘুমানো জরুরি। আর কীভাবে ঘুমানো হচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার। উপুড়
হয়ে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমানো অনেকের জন্যই আরামদায়ক। কিন্তু এতে মুখত্বকে
যে বাড়তি চাপ পড়ে, তা চেহারায় বলিরেখা তৈরি করে। চেহারায় বার্ধক্য নিয়ে
আসে।
C তে কেমিক্যাল পিল
আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডের ঘনীভূত সংস্করণ এটি। ফলে ত্বককোষ পুনরুজ্জীবিত
করার কার্যকারিতা একই। বেশির ভাগ কেমিক্যাল পিল তৈরি হয় ফ্রুট অ্যাসিড
থেকে। বাসায় বসে এর ব্যবহার সম্ভব, তবে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে এর
কার্যকারিতা বাড়ে বহুগুণ। সূর্যের পোড়া দাগ থেকে বলিরেখা—সবই সারাতে সক্ষম
এগুলো।
সেরামাইড
ত্বককোষের উপরিস্তরে সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করে স্বাভাবিক আর্দ্রতা সংরক্ষণে
সাহায্য করে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের এই উপদান কার্যক্ষমতা
হারাতে থাকে। ফলে চেহারায় রুক্ষতা এসে পড়ে। এ ক্ষেত্রে সেরামাইড যুক্ত
সৌন্দর্যপণ্যের নিয়মমাফিক ব্যবহার ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দিতে বেশ
কার্যকর।
ভিটামিন সি
তীব্র সূর্যরশ্মি থেকে পরিবেশের নানা রকম দূষণ ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
ফলে চেহারা হয়ে পড়ে শুষ্ক ও দীপ্তিহীন। বলিরেখার পাশাপাশি ইলাস্টিসিটি
হারিয়ে ঝুলে পড়তে শুরু করে ত্বক। স্পষ্ট হয়ে যায় বয়সের ছাপ। এ সবকিছু
প্রতিরোধে ভিটামিন সি জাদুকরি। ফ্রি র্যাডিক্যাল রশ্মি থেকে বাঁচায়, বাড়ায়
কোলাজেনের উৎপাদনের হার। তাই প্রতিদিনকার সৌন্দর্যচর্চায় চাই এই ভিটামিনে
তৈরি সেরাম। ডায়েটেও রাখা চাই ৯০ মিলিগ্রাম সমপরিমাণ ভিটামিন সি। একটি
কমলাই হতে পারে এর উৎস।
D তে ভিটামিন ডি
বয়স রুখতে এটাও দারুণ কাজের। কারণ, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি দেহে
ক্যালসিয়াম গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ায়। যা ত্বক কোষ পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে।
তাই বলে সটান হয়ে সরাসরি সূর্যের নিচে শুয়ে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে
ত্বক শুধু পোড়েই না, বয়স বাড়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও উসকে দেয়। সে
ক্ষেত্রে সহজ সমাধান হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে মাছ, দুধ আর মাশরুম খাওয়া। সব
কটিই ভিটামিন ডি তে পরিপূর্ণ।
E তে এক্সফোলিয়েট
অ্যান্টি এজিংয়ের বিশেষ ত্বকচর্চার রুটিনে এক্সফোলিয়েশন জরুরি। ফিজিক্যাল
বা কেমিক্যাল—ধরন যেমনই হোক না কেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ত্বকচর্চার
শুরুতে এক্সফোলিয়েশন সপ্তাহে একবারই যথেষ্ট। রাতের রূপ রুটিনে। পরবর্তীকালে
ত্বকের ধরন এবং সহ্য করার ক্ষমতা বুঝে এটি বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
স্পর্শকাতর বা সংক্রমণযুক্ত ত্বকে কম করাই ভালো। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট
মূলত সাইট্রিক, ল্যাকটিক অথবা গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত হয়ে থাকে। আর
ফিজিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট তৈরি হয় ওয়ালনাট কিংবা অ্যাপ্রিকটের দানাদার
পার্টিকল থেকে। তাই সঠিক এক্সফোলিয়েটর দিয়ে নিয়মমাফিক এক্সফোলিয়েশন ত্বকের
তারুণ্য ধরে রাখতে খুব সহায়ক।
এক্সারসাইজ
শরীরের জন্য তো বটেই, ত্বকের যতেœ ও দারুণ উপকারী ব্যায়াম। পিলাটিস, ইয়োগা
কিংবা স্ট্রেচিং—এ তিনটি এর মধ্যে থাকবে শীর্ষে। এগুলো রক্তসঞ্চালন বাড়ায়,
ত্বকে অক্সিজেনের জোগান দেয় এবং জমে থাকা দূষণ দূর করতে সাহায্য করে। এ
ছাড়া বয়স রুখতে ফেশিয়াল ইয়োগার কার্যকারিতা ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত।
F ফর ফায়ার

বয়স
রুখতে চাইলে আগুন থেকে সাবধান! কারণ, এর সংস্পর্শে কোলাজেন দ্রুত ভাঙতে
শুরু করে। ত্বক পাতলা হতে থাকে। অসময়েও বাড়ে বয়স। বিশেষজ্ঞদের মত,
সূর্যরশ্মির মতোই আগুনের তাপ ক্ষতিকর। তাই ঘরে হিটার ব্যবহার করা হলে তা
সঠিক জায়গা বুঝে রাখা দরকার। আর রান্নার সময় ত্বকে যেন অবশ্যই সানস্ক্রিনের
পরত থাকে।
G তে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড
অ্যান্টি এজিংয়ে ব্যবহৃত আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিডগুলোর মধ্যে এর নাম
শীর্ষে। কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে দারুণ। এর নিয়মিত ব্যবহার ত্বকের
মৃতকোষ সারিয়ে যৌবনদীপ্ত করে। কমায় বলিরেখা আর সূক্ষ্ম রেখার প্রকোপ। ব্রণ
আর অ্যাকনে প্রতিরোধ করে, দূর করে দাগছোপ। ফলে ত্বক দেখায় পরিপুষ্ট এবং
উজ্জ্বল। তবে সাবধানতা জরুরি। প্রতিদিন ব্যবহার করতে চাইলে পণ্যে উপাদানটির
দশ ভাগ উপস্থিতি যথেষ্ট। কিন্তু এর মাত্রা বেশি হলে সপ্তাহে এক বা দুবার
ব্যবহার করলেই চলবে।
H এ হায়ালুরনিক অ্যাসিড
শরীরের ভেতর উৎপন্ন হওয়া একধরনের শর্করাজাতীয় পদার্থ। যা দেহকোষকে আর্দ্র
রাখতে সাহায্য করে। বয়স বাড়তে থাকলে এর ঘাটতি দেখা দেয়। স্বাস্থ্যকর
খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এটা পূরণ করা সম্ভব। এ ছাড়া হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত
ময়শ্চারাইজার ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরিয়ে দিতে জাদুকরি। এর নিয়মিত
ব্যবহারে ত্বক পরিপুষ্ট থাকে। দেখায় তারুণ্যদীপ্ত।
I তে ইনটেন্স পালস লাইট
অ্যান্টি এজিংয়ে ইদানীং ভীষণ জনপ্রিয় এই আলোকচিকিৎসা। মেডিকেল বেসড সেটআপে
পুরো প্রক্রিয়া সারা হলেও কোনো কাটাছেঁড়ার বালাই নেই। বরং আলোর কারসাজিতেই
রুখে দেওয়া হয় বয়স বাড়ার চিহ্নগুলো। ক্ষতিকর সূর্যরশ্মির ফলে ত্বকে যে
ফটোএজিং হয়, তা সারাইয়ে কার্যকর এই থেরাপি। এ ছাড়া দাগছোপ আর ত্বক পাতলা
হয়ে শিরা দেখা যাওয়ার সমস্যা সমাধানেও দারুণ। কোলাজেন উৎপাদনের হার বাড়িয়ে
ত্বকে তারুণ্যের আভাও ফিরিয়ে দেয় ইনটেন্স পালস লাইট থেরাপি।
আইসোফ্লেভনস
সয়া নির্যাসিত অভাবনীয় এক উপাদান। সৌন্দর্যবিশ্বে নতুন সংযোজন হলেও
কার্যকারিতায় ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আইসোফ্লেভনস। কোলাজেন উৎপাদনের
মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতেও দারুণ। দাগছোপ সারিয়ে,
লালচে ভাব কমিয়ে ত্বকের সুস্থতা রক্ষাই এর মূল কাজ।
J তে জুসিং
প্রতিদিনকার খাদ্যতালিকায় তাজা ফলের রসের সংযোজন শরীরের জন্য যেমন উপকারী,
ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়েও ফলপ্রদ। এমন পানীয় ভিটামিন সি গ্রহণের মাত্রা
বাড়ায়, যা বলিরেখা সারানোর অব্যর্থ উপকরণ। ফল ছাড়াও সবুজ শাকসবজি দিয়ে তৈরি
গ্রিন জুস অ্যান্টি এজিংয়ে কার্যকর।
জোজোবা অয়েল
আর সব এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে এটা বেশি ফলপ্রদ। কারণ, ত্বকের প্রাকৃতিক
তেলের সঙ্গে এর আণবিক গঠনের মিল। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের আর্দ্রতা
বাড়ায় এবং উপরিস্তরে পুষ্টি জোগায়। ফলে বলিরেখা সৃষ্টির সুযোগ বন্ধ হয়ে
যায়। আর যদি বয়সের ছাপ পড়েও যায়, তা ধীরে ধীরে মিলিয়ে দিতে সক্ষম জোজোবা
অয়েল। সহজেই ত্বক শুষে নেয় বলে ব্যবহারে স্বস্তিদায়কও।
K তে কেল

গাঢ়
সবুজ এ সবজি সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। ভিটামিন এ, সি এবং কে এর আধার।
মিনারেলেরও চমৎকার উৎস। তাই এতে তৈরি সৌন্দর্য উপকরণগুলো অ্যান্টি এজিংয়ের
জন্য বেশ কার্যকর। কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এর নিয়মিত ব্যবহার।
ক্ষতি সেরে ওঠে সহজে। পুনরুজ্জীবিত হয় ত্বক। এ ছাড়া সূর্যরশ্মির প্রভাবে
ক্ষতিকর ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে সক্ষম কেল।
L এ ল্যাকটিক অ্যাসিড
বয়স রুখতে যথার্থই ফলদায়ক। দুধ থেকে সংগৃহীত একধরনের আলফা হাইড্রোক্সি
অ্যাসিড এটি, যা এক্সফোলিয়েশনের ক্ষেত্রে চমৎকার, ত্বকের কোনো ধরনের
ক্ষতিসাধন ছাড়াই। ল্যাকটিক অ্যাসিডের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মসৃণতা বাড়ে,
পেলবতাও আসে। দাগছোপ দূর করে নিখুঁত মুখত্বক সৃষ্টিতে এর জুড়ি মেলা ভার।
তবে সাবধান! এটি স্পর্শকাতরতা বাড়ায়। পিলিংয়ের পাশাপাশি সামান্য
জ্বালাপোড়াও হতে পারে। এমনকি সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে ত্বকের পুড়ে যাওয়ার
শঙ্কাও রয়েছে। তাই ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যবহারকারীদের জন্য সানস্ক্রিন ইজ আ
মাস্ট!
M এ ময়শ্চারাইজার
সব ধরনের ত্বকের যতেœ ময়শ্চারাইজার চাই-ই। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এর
প্রয়োজনীয়তা বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডে টাইম ময়শ্চারাইজার যেন ইউভিএ
এবং ইউভিবি যুক্ত থাকে। এতে করে জরুরি আর্দ্রতার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর
রশ্মি থেকে সুরক্ষা মিলবে। এ ক্ষেত্রে জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটেনিয়াম
ডাই-অক্সাইডের মতো উপাদানসমেত ময়শ্চারাইজার সবচেয়ে ভালো অপশন। শুধু মুখত্বক
নয়, মাখতে হবে গলা, ঘাড় এবং হাতেও। আর রাতের ময়শ্চারাইজার ব্যবহারের আগে
দেখে নেওয়া দরকার—তাতে বয়স রুখে দেওয়ার ত্বকবান্ধব উপাদানগুলো আছে তো!
মাইক্রোডার্মাব্রেশন
নন-ইনভেসিভ প্রফেশনাল এ ট্রিটমেন্ট অ্যান্টি এজিংয়ে জুতসই। এতে ফিজিক্যাল
এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা হয়, যা ত্বককে মসৃণ এবং নিখুঁত রাখতে সাহায্য
করে। মূলত বয়স রোধ নয়, বয়সজনিত দাগছোপ দূর করতেই মাইক্রোডার্মাব্রেশন বেশি
কার্যকর। সাধারণত ত্বকের বহিস্তরের হাইপারপিগমেন্টেশন, সূর্যে পোড়া দাগ,
বলিরেখা দূর করে। কোষের পুনরুৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক।
N এ নিয়াসিনামাইড
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সৌন্দর্যবিশ্বে পরিচিত সেল কমিউনিকেটিং
ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসেবে। একই সঙ্গে অনেকগুলো ত্বক সমস্যার সমাধানে
নিয়াসিনামাইড একাই এক শ। রোদের ক্ষতিকর প্রভাব, অ্যাকনে-ব্রণসহ নানা রকম
জ্বালাপোড়া রোধে চমৎকার কাজ করে এটি। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
বজায় রাখে আর্দ্রতা। পোস্ট ইনফ্ল্যামেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন আর সব ধরনের
অ্যাকনে থেকে সৃষ্ট অস্বস্তিও সারাতে সক্ষম। প্রতিদিন নিয়ম করে দুবার এর
ব্যবহারেই ভালো ফল মিলবে।
নো ফ্রাউনিং
ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে চোখমুখ কুঁচকে বসে
থাকার অভ্যাস কমবেশি প্রায় সবার মধ্যেই থাকে। নিয়মিত এ মুখভঙ্গির ফলে
ত্বকের বিশেষ কিছু জায়গায় সময়ের আগেই বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষত
দুই আইব্রাওয়ের মধ্যবর্তী অংশ ও মুখের দু পাশের মেরিওনেট লাইন। সে ক্ষেত্রে
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ২০-২০-২০ কৌশল অবলম্বন করার। প্রতি বিশ মিনিট পর ২০
ফুট দূরের কোনো কিছুতে লক্ষ্য স্থির করে রাখতে হবে ২০ সেকেন্ডের জন্য। এতে
চেহারা আর চোখের পেশিগুলো শিথিল হওয়ার সুযোগ পায়।
O তে অক্সিজেন

গবেষণায়
জানা গেছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন মানুষের ত্বক এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত
অক্সিজেন হারায়। ফলে ত্বকের প্রাণোজ্জ্বল ভাবটাও স্তিমিত হতে শুরু করে।
সমাধান, সময় থাকতেই ত্বকে জরুরি অক্সিজেনের জোগান দেওয়া।
এ কাজে রাতই জুতসই। যখন ত্বক নিজে নিজেই সেরে ওঠার সময় পায়। অক্সিজেন
ইনফিউসড নাইট ক্রিম বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। বিউটি স্যালনগুলোতেও মিলবে
অক্সিব্রাইট, অক্সিকোলাজেনসহ হরেক রকমের হাইএন্ড ফেশিয়াল ট্রিটমেন্ট।
বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধায়নে বেছে নেওয়া যেতে পারে এগুলোর যেকোনো একটি। ত্বকে
তারুণ্যের আভা ধরে রাখার জন্য।
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা টিকিয়ে রাখার জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি
অ্যাসিড সবচেয়ে কার্যকর, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এটি। এর নিয়মিত
ব্যবহারে ত্বককোষ থাকে আর্দ্র এবং কোমল। ফলে বলিরেখা পড়ার আশঙ্কা কমে যায়
একদমই। স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল দেখায়। শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি
অ্যাসিড জোগান দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায়
মাছ রাখা। এ ছাড়া ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে নিয়মিত। আর ওমেগা
থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত বিউটি প্রডাক্ট তো থাকছেই।
P তে পলিফেনল
একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বয়স রুখতে দারুণ কাজের। যা ত্বকে ফ্রি
র্যাডিকেলের ফলে সৃষ্ট ক্ষতি সারাতে সহায়ক। পলিফেনল সবচেয়ে বেশি মিলবে
গ্রিন টি, বেরি আর ডার্ক চকলেটে।
পেপটাইড
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন ভাঙার প্রবণতা খুবই স্বাভাবিক। তবে
বিজ্ঞান বলছে, এ সময় শরীর একধরনের পেপটাইড তৈরি করতে শুরু করে, যা কোলাজেন
উৎপাদনের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম। সমীক্ষায় দেখা গেছে, শরীরে প্রাকৃতিকভাবে
যথেষ্ট পরিমাণে পেপটাইড তৈরি না হলে সহজ কৌশলে তা সারানো সম্ভব। পেপটাইডে
পরিপূর্ণ সৌন্দর্যপণ্য ত্বকে সরাসরি মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বাড়ে
এমন প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যে। নিয়মিত এগুলোর ব্যবহার ত্বককোষের আর্দ্রতা তো
বজায় রাখেই, সেল কমিউনিকেটর হিসেবেও কাজ করে। ফলে ত্বক নিজেই নিজের ক্ষতি
সারিয়ে তোলার উপযোগী হয়। বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা রোধ করতে পারে।
Q তে কিনুয়া
সুপারফুড হিসেবে সুপরিচিত। এর বীজ সৌন্দর্যচর্চায় কার্যকর। একই সঙ্গে
ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর প্রোটিনের জোগান দেয় ত্বকে সরাসরি ব্যবহার
করলেই। কিনুয়ার ভিটামিন এ কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা যেমন বাড়ায়, তেমনি এর
রিবোফ্লাবিন ইলাস্টিন সৃষ্টিতে সহায়ক। এতে থাকা ভিটামিন বি ডার্ক মেলানিনকে
নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে বয়সজনিত দাগছোপ আর পিগমেন্টেশন থেকে সুরক্ষিত থাকে
ত্বক। এমনকি এডাল্ট অ্যাকনে এবং তা থেকে সৃষ্ট দৃষ্টিকটু চিহ্নগুলো থেকে
বাঁচাতে পারে কিনুয়া। কারণ, এতে রয়েছে অ্যাকনে রোধী কম্পাউন্ড। ফ্রি
র্যাডিক্যাল সৃষ্ট ত্বক সমস্যা থেকেও বাঁচায় এটি।
R এ রেটিনল
বহুল ব্যবহৃত, সবচেয়ে পুরোনো এবং নির্ভরযোগ্য বয়সরোধী উপাদান এটি। ভিটামিন এ
থেকে সংগৃহীত হয় রেটিনল। তারপর তা থেকে তৈরি হয় হাইএন্ড সব অ্যান্টি এজিং
প্রোডাক্ট। যেগুলো ত্বকের উপরিস্তরে জমতে থাকা মৃতকোষ দ্রুত সারানোতে
জাদুকরি। এ ছাড়া সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সৃষ্ট ফি র্যাডিক্যাল থেকে
বাঁচাতেও কার্যকর। এটা নতুন ত্বককোষ উৎপাদনের হারকে ত্বরান্বিত করে। তৈরি
করে একদম নতুন কোমল ত্বক। কোলাজেন উৎপাদনের মাধ্যমে বলিরেখার মতো বয়সজনিত
ছাপকে রোধ করে। অসম ত্বক রঙ হওয়ার আশঙ্কা কমায়। তবে সাবধানতা দরকার। বয়স
এবং প্রয়োজন বুঝে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে তবেই রেটিনল ব্যবহার করা চাই।
এর নিয়মিত প্রয়োগে স্পর্শকাতরতা বাড়ে। সূর্যরশ্মিতে এর প্রতিক্রিয়া বিরূপ।
অস্বস্তি, লালচে ভাব আর চামড়া ওঠার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই সানব্লক
ব্যবহার জরুরি।
S এ সানস্ক্রিন
এসপিএফ বা সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর। ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া রোধের সেরা হাতিয়ার।
সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি সময়ের আগেই বয়সের ছাপ ফেলে দেওয়ার প্রধানতম কারণ।
নিয়মিত ইউভিএ এবং ইউভিবি এর সংস্পর্শে এলে ত্বকে বাড়ে বলিরেখা, খসখসে ভাব
আর হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো সমস্যা। কারণ, সূর্যালোক ত্বকের সংস্পর্শে এলে
লিপিডের স্তর শুষে নিতে শুরু করে। বাড়ে জ্বালাপোড়া আর ফ্রি র্যাডিক্যাল
উৎপাদনের মাত্রা। যা নতুন ত্বককোষের স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতায় বাধা দেয়।
কোলাজেন নষ্ট করে দিতে পারে এমন এনজাইমগুলোকে উদ্দীপ্ত করে। ফলাফল—ত্বকের
ইলাস্টিসিটি কমতে শুরু করে, বাড়ে বলিরেখা। এ ছাড়া ইউভিবি ত্বককে পুড়িয়ে
ফেলে। আর ইউভিএ ফটোএজিংকে ত্বরান্বিত করে। তাই সানস্ক্রিন ছাড়া বেরোনো
মানেই বিপদ। এ ক্ষেত্রে সেরা সমাধান এমনগুলো বেছে নেওয়া, যা শুধু রোদ থেকে
সুরক্ষাই দেবে না, সঙ্গে বয়সরোধী উপাদানের মাধ্যমে ত্বককে রাখবে প্রাণবন্ত।
পেপটাইড কিংবা হোয়াইট টি দেওয়া সানস্ক্রিন উপযুক্ত বিকল্প। নিদেনপক্ষে
এসপিএফ ৩০ যুক্ত থাকলে ভালো। প্রতিদিন প্রয়োগ করা চাই। পণ্যের গায়ে লেখা
নির্দেশনা মেনে।
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড
এক্সফোলিয়েশনের জন্য কার্যকর। ত্বক রঙ এবং টেক্সচারের স্বাভাবিকতা বজায়
রাখতে। লোমকূপগুলো গভীর থেকে পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বকের দাগছোপ আর
সূক্ষ্মরেখা সারাইয়ে সক্ষম।
সেলেনিয়াম
একধরনের মিনারেল, যা ত্বকের স্বাভাবিক ইলাস্টিসিটি বজায় রাখার কাজ করে।
সূর্যের ক্ষতি সারিয়ে উঠতেও সহায়ক। মিলবে সামুদ্রিক মাছ, ডিম আর রসুনে। তাই
প্রতিদিনকার খাবার তালিকায় থাকুক এগুলো।
T তে টি এক্সট্র্যাক্ট

চা
হচ্ছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের আধার। সবুজ আর সাদা চা-এর নির্যাসে এর পরিমাণ
সবচেয়ে বেশি। কালো চাও কম যায় না। সবই পারিপার্শ্বিক দূষণ আর অকালে বুড়িয়ে
যাওয়া থেকে সুরক্ষিত করে ত্বককে। এ ছাড়া চায়ের নির্যাসে তৈরি সৌন্দর্যপণ্য
জ্বালাপোড়া আর নানা অস্বস্তির সেরা সমাধান। এ ছাড়া কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা
বাড়ায়। মুছে দেয় বলিরেখা। ত্বকের সুস্থতা ফিরিয়ে আনে।
U তে আলট্রাসনিক ফেশিয়াল
বয়সরোধী নন-ইনভেসিভ ট্রিটমেন্ট। এর মাধ্যমে সাধারণত হাই এনার্জিং
আলট্রাসাউন্ড ওয়েভ তৈরি হয়, যা ত্বকের গভীরতম স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে। যা
সাধারণ ফেশিয়াল প্রক্রিয়ায় তা অনেক সময় সম্ভব হয় না। এটা ত্বকের ন্যাচারাল
প্রোটিন কোলাজেনকে উদ্দীপ্ত করে। এর উৎপাদন মাত্রা ত্বরান্বিত করে। ফলে
ইলাস্টিসিটি বাড়ে। দৃশ্যমান বলিরেখা কমতে শুরু করে। ত্বক হয় টান টান,
পরিপুষ্ট। মুখ ছাড়াও গলার ত্বকের ভাঁজ আর ঝুলে পড়া দূর করতেও কার্যকর
আলট্রাসনিক ফেশিয়াল।
V তে ভিটামিন
শরীরের সুস্থতাই বজায় রাখে না, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও মোক্ষম। এ
ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ভিটামিন ‘সি’ ডার্মাটোলজিস্টদের প্রথম পছন্দ। ফলে
জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সৌন্দর্যসচেতনদের মধ্যেও। মূলত এর
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে তৈরি করে সুরক্ষার দেয়াল। ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে
বাঁচায়। অকালে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। এমনকি পারিপার্শ্বিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা
করে। ত্বককোষগুলোকে রাখে শক্তিশালী। ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও
অসাধারণ। বাড়াতে পারে সানস্ক্রিনের কার্যক্ষমতা। তবে সামান্য লালচে ভাব আর
পিলিং হতে পারে এর ব্যবহারে। ত্বকের ক্ষমতা বুঝে এটি ব্যবহার করতে হয়।
প্রথমে দশ শতাংশ বা তার কম পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত পণ্য দিয়ে শুরু করা
যেতে পারে। দিনে একবার, সপ্তাহে দু বা তিন দিন। পরবর্তীকালে এর মাত্রা
বাড়িয়ে প্রতিদিন এক বা দুবার ব্যবহার করলেও তেমন ক্ষতি হবে না ত্বকের।
W তে ওয়াটার
বিশ্বের জনপ্রিয় সব তারকার সৌন্দর্যের রহস্য জানতে চাইলে প্রথমেই তাদের
মুখে উচ্চারিত হয় এই উপাদানটির কথা। প্রচুর পরিমাণে পানি পানের পরামর্শ
ত্বক বিশেষজ্ঞদেরও। কারণ, এটি এমন এক জাদুকরি উপাদান, যা হারিয়ে দিতে পারে
নামীদামি ব্র্যান্ডের আর্দ্রতা রক্ষাকারী ময়শ্চারাইজারগুলোকেও। কারণ, একদমই
প্রাকৃতিক। ত্বক তৈরি হয় ৬৪ শতাংশ পানিতে। তাই শুধু পরিমাণমতো পানি পানেই
স্বাভাবিকভাবেই আর্দ্র থাকে ত্বক। পরিপুষ্ট দেখায়। বলিরেখা পড়ার সুযোগও
মেলে না।
X এ জিমেনিয়া
আফ্রিকান এ ফল থেকে নির্যাসিত তেলকে বলা হচ্ছে সৌন্দর্যচর্চার পরবর্তী
আরগান অয়েল। এটি ত্বকে আর্দ্রতার জোগান দেওয়ার জাদুকরি এক উপাদান।
উচ্চমাত্রার ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত। নিমেষেই শুষে নেয়
ত্বক, দেয় মসৃণতা। রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আর পরিবেশের নানাবিধ
দূষণ থেকে। ফলে বয়স বাড়লেও তার ছাপ পড়তে দেয় না ত্বকে। স্থিতিস্থাপকতা
বাড়াতেও বেশ সহায়ক এই তেল।
Y তে ইলাং ইলাং
অ্যারোমাথেরাপিতে এটি মানসিক অবসাদ দূর করার ঔষধি হিসেবে জনপ্রিয়। তবে
ত্বকচর্চাতেও রয়েছে এর বিশেষ কদর। ন্যাচারাল স্কিন ব্যালেন্সার হিসেবে। ফলে
ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত যেমনই হোক না কেন, ব্যবহার উপযোগী। মূলত অ্যাকনে আর
ব্রণরোধের জন্য। ত্বকের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকর। সঙ্গে
এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টিসেপটিক প্রোপার্টি উপরি প্রাপ্তি। ফলে
পরিণত ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে উপকারী।
Z এ জিঙ্ক অক্সাইড
পণ্যে এই উপকরণের উপস্থিতি মানেই সূর্য থেকে শতভাগ সুরক্ষা। কার্যকর
সানস্ক্রিন তৈরির উপাদানগুলোর মধ্যে সেরা। মূলত মিনারেল বেসড সানস্ক্রিন
তৈরি হয় জিঙ্ক অক্সাইড দিয়ে। যা সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি ত্বককে
শুষে নিতে দেয় না, বরং ফিরিয়ে দেয়। সব ধরনের ত্বক এমনকি স্পর্শকাতরতাতেও
শতভাগ সুরক্ষা দিতে সহায়ক এতে তৈরি সানস্ক্রিনগুলো। নিরাপদও। তাই বয়স রুখতে
প্রধান একটি হাতিয়ার হতে পারে জিঙ্ক অক্সাইড।
কভার: সোনিয়া বশির কবির
ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান, এসবিকে টেক ভেনচার
আসবাবপত্র: ইশো বিডি
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: হাদী উদ্দীন
Comments
Post a Comment