মুজিববর্ষে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের
প্রদর্শনী ম্যাচ ঘিরে সিদ্ধান্ত বদলেছে ভারত! এজন্য এখনই ক্রিকেটারদের নাম
পাঠাচ্ছে না তারা। বিরাট কোহলিদের আন্তর্জাতিক সূচি ও কাজের চাপ বিবেচনা
করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড
(বিসিসিআই)বিষয়টি জানিয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আগামী ২১
এবং ২২ মার্চ ঢাকায় এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে দুটি প্রদর্শনী
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ আয়োজন
করছে। মহারণ দুটি হওয়ার কথা মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
তাতে ভারতীয় ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিসিসিআই
সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। ভারতের কোন কোন ক্রিকেটার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন,
তাদের নাম বিসিবির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল বলেও একটি সূত্র দাবি করে।
সেই তালিকায় টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি,বাঁহাতি ওপেনার শিখর
ধাওয়ান, পেসার মোহাম্মদ শামি, মিডলঅর্ডার লোকেশ রাহুল, চায়নাম্যান স্পিনার
কুলদীপ যাদব,উইকেটরক্ষক রিশভ পন্থের নাম ছিল বলেও জানানো হয়। এরপর এশিয়া ও
বিশ্ব একাদশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে চলা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করে দেয়
বিসিবি।
তা অনুযায়ী, এশিয়া একাদশের হয়ে খেলার কথা কোহলি, ধাওয়ান, রাহুল, পন্থ,
শামি ও যাদবের। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে এখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার
বিসিসিআই জানায়,এখনই বাংলাদেশে হতে চলা প্রদর্শনী টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য
ক্রিকেটারদের নাম পাঠাবে না তারা। নিউজিল্যান্ড সফর সেরে দেশে ফিরলে
কোহলিদের কাজের বহর পর্যালোচনা করে তবেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বিসিসিআই সূত্রের খবর,নিউজিল্যান্ড সফর শেষে ৬ মার্চ দেশে ফিরছে ভারতীয়
ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য ১০ মার্চ
ধর্মশালায় পৌঁছবেন কোহলিরা। ১২ মার্চ সেখানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম
ওয়ানডে খেলবেন তারা। ১৫ মার্চ লক্ষ্মৌর একানা স্টেডিয়ামে তাদের বিরুদ্ধে
দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলবেন মেন ইন ব্লুরা। আর দুদলের মধ্যে সিরিজের শেষ ওয়ানডে
হবে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ইডেন গার্ডেন্সে ১৮ মার্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ হলেই আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন
ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ২৯ মার্চ থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। এর ১০ দিন আগে
থেকে নিজ নিজ মাঠে প্রস্তুতি শিবির গাঁড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সেই
খেলোয়াড়দের ছাড়তে চাইছে না কোনো দলই।
এ পরিস্থিতিতে ঢাকায় হতে চলা এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের জন্য ক্রিকেটার
ছাড়তে বিসিসিআইকে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।তাই তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত
পুনর্বিবেচনা করতে চাইছে।
তথ্যসূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া।
Comments
Post a Comment