বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

  বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড , সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন। সবারই স্বপ্ন থাকে মনের মত একটি সুন্দর বাড়ি করার। কিন্তু বাড়ি তৈরি করতে নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণের দরকার হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি … বাড়ি তৈরিতে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। নিন্মে লেখায় দেওয়া হিসাবটি জেনে রাখুন।   বাড়ি নির্মাণে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। ✓ ১০ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ✓ ০৫ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। ✓ গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। ✓ নিচের ছলিং এ প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়। ✓ ০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থা ৎ ঘনফুট। ✓ এসএফটি অর্থা ৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়। ✓ ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০ ” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।   ✓ ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ও...

মুরগি ৪৪ টাকা, ডিম ৫ আর বাচ্চা শূন্য

মুরগি ৪৪ টাকা, ডিম ৫ আর বাচ্চা শূন্য

রাজীব আহমেদ, ঢাকা
প্রথম আলো 

আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০, ১৮:১৫


মুরগিমুরগিকিছুদিন আগেও খামারের একেকটা ডিম ৮ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। তা অর্ধেক নেমে একেকটা ৪ থেকে ৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ও নেমেছে ধস। এখন তা পানির দরে—কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৫৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। করোনার প্রভাবে ক্রেতা কমে যাওয়ায় ডিম আর মুরগির ব্যবসায় এমন মন্দা লেগেছ বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
দেশের করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর যেসব অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী খাত ব্যাপক ক্ষতির মুখে, এর মধ্যে পোলট্রি খামারিরা অন্যতম। খামারে মুরগি ডিম পাড়ছে, বিক্রি হচ্ছে না। আলাদা করে রাখা ব্রয়লার মুরগির ওজন বাড়ছে, কিন্তু কেনার লোক কম।
সব মিলিয়ে বড় সংকটে পড়েছেন খামার মালিকেরা। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি খামারি। সাইফুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহে তার ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
খামারের মালিকদের দাবি, একটি ডিম উৎপাদনে খরচ ৬ টাকার মতো। এখন ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি উৎপাদন খরচ ৯০ টাকার কিছু বেশি। মালিকেরা বলছেন, দাম যখন বেড়ে যায়, তখন চাইলেই উৎপাদন বাড়িয়ে বাড়তি টাকা আয় করা যায় না। আবার যখন কমে যায়, তখন চাইলেও তাৎক্ষণিক উৎপাদন কমিয়ে ফেলা যায় না। ফলে লোকসান অবধারিত।
ঢাকার মানুষ কি খুব কম দামে ডিম-মুরগি কিনতে পারছে? গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম প্রতি ডজন (১২টি) ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানে দাম ডজনপ্রতি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ব্রয়লার মুরগির দাম বেশ কয়েক মাস ধরেই কম। ছুটি শুরুর আগে মানুষ যখন আতঙ্কে কেনাকাটা করছিল, তখন ডিমের ডজনপ্রতি দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় ওঠে।
বাংলাদেশ পোলট্রি খামার জাতীয় পরিষদ প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুরগি ও ডিমের দাম সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। গতকালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, খামার পর্যায়ে সাদা ডিমের প্রতিটির দাম খামারিরা ৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত পেয়েছেন। আর বাদামি ডিমের দাম মিলেছে ৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। একইভাবে ব্রয়লার মুরগি বিভিন্ন জেলায় ৬০ টাকা, ৮০ টাকা ও ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
খন্দকার মো. মহসিন পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক নেই। বাজারে চাহিদা নেই। চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামছেন না। সব মিলিয়ে একেক জায়গায় একেক দাম। খামারিরা ভালো দাম পাচ্ছে না। কিন্তু বাজারে ক্রেতারাও এর সুফল ততটা পাচ্ছে না।
মুরগির দাম কমে যাওয়ায় এক দিন বয়সী বাচ্চার চাহিদায় ধস নেমেছে। টাঙ্গাইলের খামারি সাইফুল ইসলাম বলেন, হ্যাচারির মালিকেরা প্রতিটি ২ টাকা দরে বাচ্চা দিতে চেয়েছে। তারপরও কেনার মতো খামারি পাওয়া যাচ্ছে না। খামারিরা যদি এখন খামার বন্ধ করে দেন, তাহলে কিছুদিন পরেই আবার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
‘বাচ্চা মেরে ফেলা হচ্ছে’
বাংলাদেশ পোলট্রি কো-অর্ডিনেশন কমিটির (বিপিআইসিসি) সভাপতি মশিউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলো, এক দিন বয়সী মুরগির বাচ্চার দাম কত? তিনি উত্তর দিলেন, ‘শূন্য টাকা।’ প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বাচ্চা এখন মেরে পুঁতে ফেলা হচ্ছে। কারণ, এক টাকা দাম দিয়েও কেউ নিচ্ছে না।
দেশে ৭০ হাজার মতো ছোট-বড় খামার আছে উল্লেখ করে মশিউর রহমান আরও বলেন, খামারিরা বাচ্চা ওঠালে তাকে খাওয়াতে হবে। বিদ্যুৎ, শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ রয়েছে। কিন্তু মাংসের দাম নেই। আর পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফলে বিনা মূল্যে বাচ্চা নিয়েও কেউ খামার চালু রাখতে চায় না।
মশিউর রহমান উল্লেখ করেন, ‘শুধু রপ্তানি খাতকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল দেওয়া হলো। আর কৃষি খাতকে সব সময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে সেটা মৌখিকভাবে। খামারিরা এ ধরনের দুর্যোগে কখনোই কিছু পায়নি।’

Comments

Popular posts from this blog

বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

ভালো খাবার–মন্দ খাবার চেনেন তো?

ভারতের মুসলিমদের আশ্রয় দিক বাংলাদেশ-পাকিস্তান : তসলিমা