বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

  বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড , সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন। সবারই স্বপ্ন থাকে মনের মত একটি সুন্দর বাড়ি করার। কিন্তু বাড়ি তৈরি করতে নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণের দরকার হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি … বাড়ি তৈরিতে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। নিন্মে লেখায় দেওয়া হিসাবটি জেনে রাখুন।   বাড়ি নির্মাণে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। ✓ ১০ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ✓ ০৫ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। ✓ গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। ✓ নিচের ছলিং এ প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়। ✓ ০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থা ৎ ঘনফুট। ✓ এসএফটি অর্থা ৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়। ✓ ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০ ” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।   ✓ ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ও...

প্রতিবেশী করোনা হলে...

প্রতিবেশী করোনা হলে...

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান

প্রতীকী ছবি।প্রতীকী ছবি।

প্রতিবেশীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন। মনে জাগছে নানা প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে প্রথম কথা হলো, অকারণে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়া চলবে না। আরও কিছু বিষয়ে সচেতন থাকলে করোনার সংক্রমণ সহজেই এড়ানো যায়।

১. করোনা রোগী থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই পাড়ায়, গলিতে, ওপরতলা বা নিচতলায় কিংবা পাশের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে করোনা রোগী থাকলে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে আপনার দায়িত্ব হলো রোগী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা, তাঁদের বিপদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এগিয়ে আসা। একই সঙ্গে পাড়ার বা অ্যাপার্টেমেন্টের অন্যরা যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

২. টেলিফোনে বা ইন্টারকমে আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। রোগীকে একটি নির্দিষ্ট ঘরে কীভাবে আইসোলেশনে থাকতে হবে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে তাঁদের সহযোগিতা করুন।

৩. অনেকে করোনার সংক্রমণের বিষয়টি সামাজিক হয়রানির ভয়ে চেপে রাখার চেষ্টা করেন। এতে বিপদ আরও বাড়ে। রোগী ও তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করুন যে এতে গোপন করার কিছু নেই।

৪. আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরাও আইসোলেশন মেনে চললে ভালো। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী হিসেবে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো, রোগীর পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিস বা বাজারের ব্যবস্থা করে দেওয়া। এতে রোগীর পরিবারের কাউকে আর বাইরে বের হতে হবে না। বাজারসদাই বা প্রয়োজনীয় জিনিস রোগীর বাড়ির দরজার সামনে রেখে আসুন।

৫. রোগী বা তাঁর পরিবারের কাউকে মসজিদ, দোকান, গলি, বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে প্রথমে সতর্ক করুন, বুঝিয়ে বলুন। না শুনলে নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিন। আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের লোক ইতিমধ্যে দালানের যেসব জায়গা ব্যবহার করেছেন, যেমন লিফট, করিডর, গ্যারেজ বা বাড়ির সামনের জায়গাটুকু জীবাণুমুক্ত করে নিন সবাই মিলে। যাঁরা ওই বাড়িতে যান, যেমন হকার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ময়লা ফেলার লোক, তাঁদেরও সাবধান করুন, যেন তাঁরা দূরত্ব বজায় রাখেন। রোগীর বাড়ির ময়লা-আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়।

৬. আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার মানে এই নয় যে তাঁদের একঘরে করে ফেলবেন। নিয়মিত তাঁদের খোঁজখবর নিন। আশ্বাস দিন। রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে সাহায্য করুন।

৭. মৃত ব্যক্তি করোনা ছড়ায় না। কিন্তু সংক্রামক ব্যাধি আইন অনুসারে করোনা রোগীর মৃতদেহ বিশেষ নিয়মে সৎকার করতে হয়। যে কেউ দূরত্ব বজায় রেখে জানাজায় বা দাফনে অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু দাফনের মূল কাজটুকু সুরক্ষা মেনে করতে হবে। যদি তা না-ও করেন, অন্তত মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়ান।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

Comments

Popular posts from this blog

বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

ভালো খাবার–মন্দ খাবার চেনেন তো?

ভারতের মুসলিমদের আশ্রয় দিক বাংলাদেশ-পাকিস্তান : তসলিমা