বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

  বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড , সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন। সবারই স্বপ্ন থাকে মনের মত একটি সুন্দর বাড়ি করার। কিন্তু বাড়ি তৈরি করতে নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণের দরকার হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি … বাড়ি তৈরিতে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। নিন্মে লেখায় দেওয়া হিসাবটি জেনে রাখুন।   বাড়ি নির্মাণে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। ✓ ১০ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ✓ ০৫ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। ✓ গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। ✓ নিচের ছলিং এ প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়। ✓ ০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থা ৎ ঘনফুট। ✓ এসএফটি অর্থা ৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়। ✓ ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০ ” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।   ✓ ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ও...

এ সময় প্রসূতির সেবা

এ সময় প্রসূতির সেবা

ডা. ফারজানা শারমিন

ফাইল ছবিফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে চাইলেই প্রসবকালীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে যাওয়া যাচ্ছে না। কারণ, অন্তঃসত্ত্বা নারীরা সংক্রমণের বিশেষ ঝুঁকিতে থাকেন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনএইচএস) এবং রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসির কিছু নির্দেশনা রয়েছে। এগুলো মেনে চললে সহজেই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

কয়বার চেকআপ করাবেন

স্বাভাবিক সময়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রসবকালীন অন্তত চারবার চেকআপ করানোর কথা। তবে করোনার এ সময় দুবার গেলেই চলবে। প্রথমবার ২০ সপ্তাহের মধ্যে, আর দ্বিতীয়বার ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে।

 

যেসব সতর্কতা অবলম্বন করবেন

* অন্তঃসত্ত্বা নারীরা বাড়িতেই অবস্থান করুন। বিশ্রাম নিন। কিছুতেই বাইরে যাবেন না।

* বারবার ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

* যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার খান। ফলমূল, শাকসবজি খান। প্রচুর পানি পান করুন।

* সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। বিশেষ করে আপনার বাড়ির কাউকে যদি বাইরে যেতে হয়, তাঁর কাছ থেকে দূরে থাকুন।

* নিজের যত্ন নিন। শিশুর নড়াচড়া খেয়াল করুন।

 

কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন

* জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

* সময়ের আগেই প্রসবব্যথা উঠলে।

* অন্য সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদির কারণে কোনো জটিলতা দেখা দিলে।

* প্রসবকালীন বিপদচিহ্ন (রক্তক্ষরণ, খিঁচুনি, পানি ভেঙে যাওয়া, বাচ্চার মাথা বা কোনো অংশ বেরিয়ে আসা ইত্যাদি) দেখা দিলে।

 

যদি করোনার উপসর্গ দেখা দেয়

করোনা মহামারির সময় অনেক অন্তঃসত্ত্বা নারীও আপনজনদের কাছ থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আতঙ্কিত হবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

* উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা চালাতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল বা কাশির জন্য অ্যান্টিহিস্টামিন খেতে পারেন। হুট করে কোনো ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।

* প্রসবের তারিখ দেরিতে থাকলে করোনা নেগেটিভ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো। তবে অন্য কোনো জটিলতা বা জরুরি অবস্থা দেখা দিলে চিকিৎসক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

* প্রসবের সময় চলে এলে সর্বোচ্চ সুরক্ষা মেনে কোভিড–১৯ রোগের চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রসবের ব্যবস্থা করতে হবে।

* প্রসব–পরবর্তী সময়ে মা করোনা নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত নবজাতককে আলাদা রাখতে হবে। তবে মায়ের দুধ পান করাতে কোনো সমস্যা নেই। এ ক্ষেত্রে মায়ের দুধ বাটিতে নিয়ে নবজাতককে তা চামচ দিয়ে পান করাতে হবে। কোনো উপায় না থাকলে মা মুখে মাস্ক পরে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে শিশুকে স্তন্যপান করাবেন।

* শিশুর করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।

ডা. ফারজানা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Comments

Popular posts from this blog

বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

ভালো খাবার–মন্দ খাবার চেনেন তো?

ভারতের মুসলিমদের আশ্রয় দিক বাংলাদেশ-পাকিস্তান : তসলিমা