বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

  বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড , সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন। সবারই স্বপ্ন থাকে মনের মত একটি সুন্দর বাড়ি করার। কিন্তু বাড়ি তৈরি করতে নির্মাণকাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণের দরকার হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি … বাড়ি তৈরিতে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। নিন্মে লেখায় দেওয়া হিসাবটি জেনে রাখুন।   বাড়ি নির্মাণে কতটুকু- রড , সিমেন্ট , ইটের প্রয়োজন। ✓ ১০ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ১০ টি ইট লাগে। ✓ ০৫ ” ওয়াল গাথুনীতে প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) গাথুনীতে ০৫ টি ইট লাগে। ✓ গাথুনী এব প্লাস্টারে ০১ বস্তা সিমেন্টে ০৪ বস্তা বালি। তবে ০৫ বস্তাও দেওয়া যায়। ✓ নিচের ছলিং এ প্রতি ০১ ’ ( স্কয়ার ফিট) এর জন্য ০৩ টি ইট লাগে। পিকেট ইট দিয়ে খোয়া করতে হয়। ✓ ০৯ টি পিকেট ইট দিয়ে ০১ সিএফটি খোয়া হয়। সিএফটি অর্থা ৎ ঘনফুট। ✓ এসএফটি অর্থা ৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্তের দিক দিয়ে। কলাম এবং লিংটেল এর হিসাব সিএফটি তে করতে হয়। ✓ ইঞ্চিকে প্রথমে ফুটে আনতে হবে। ( ১০ ” ÷ ১২ = ০.৮৩৩)এবং গাথুনীতে ও প্লাস্টারের হিসাব এসএফটি তে করতে হয়।   ✓ ১ ঘনমিটার ইটের গাথুনীর ও...

ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ব্যায়াম

ব্যথা কমানোর ঘরোয়া ব্যায়াম

মেহেরুন-নেসা

প্রতীকী ছবি।প্রতীকী ছবি।

বয়স্কদের অনেকে বিভিন্ন ধরনের বাত ও ব্যথায় ভোগেন। কারও কারও তো এ জন্য ফিজিওথেরাপিও নিতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের এই সময় সবাইকে ঘরে থাকতে হচ্ছে। ফলে অনেকেরই বাত ও ব্যথাজনিত কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। বাসায়ই কিছু ব্যয়াম করলে ও পরামর্শ মানলে এসব কষ্ট লাঘব হতে পারে:

* পরিচিত ও অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছ থেকে ফোনে পরামর্শ নিন। বাইরে যাবেন না।

* ব্যথা যদি তীব্র হয় তবে তিন-চার দিনের জন্য হাঁটুকে পূর্ণ বিশ্রাম দিন।

* যেসব কারণে ব্যথা বাড়ে (যেমন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, হাঁটু ভাঁজ করা, নিচে বসা, লো কমোডে বসা, হাঁটা, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা ইত্যাদি) সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

* প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করুন।

* ব্যথার স্থানে নরম সুতি তোয়ালে ভিজিয়ে ২০ মিনিট গরম সেঁক ও ১০ মিনিট ঠান্ডা পানির সেঁক দিন। দিনে তিন-চারবার সেঁক নেওয়া যাবে।

* পুষ্টিকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার খান এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন।

* প্রতিদিন বাসার বারান্দায় বা ছাদে কিংবা উঠানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে যেকোনো সময় ১৫ থেকে ২০ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোর সংস্পর্শে থাকুন।

* ব্যথার তীব্রতা কমে গেলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে বিভিন্ন ধরনের অ্যারোবিক ব্যায়াম, স্ট্রেচিং ইত্যাদি করতে পারেন।

 

কিছু ব্যায়াম:

* নরম তোয়ালে ভাঁজ করে হাঁটুর নিচে রেখে হাঁটু দিয়ে তোয়ালের ওপর চাপ দিয়ে ৫-১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিন। দিনে ৩-৪ বার এ ব্যায়াম করতে পারেন। প্রতিবার ১০-১৫ বার করুন।

* চেয়ারে বসে পায়ের গোড়ালিতে ২-৩ কেজি ওজনের বালুর ব্যাগ বেঁধে পা সোজা করে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং আবার ভাঁজ করুন।

* একইভাবে উপুড় হয়ে শুয়ে বালুর ব্যাগ পায়ে বেঁধে হাঁটু ভাঁজ করতে হবে। ১০ সেকেন্ড ধরে রেখে আবার ছেড়ে দিতে হবে। এ ব্যায়াম প্রতিবার ১০-১৫ বার করুন।

* চেয়ারের সামনে বা বাসায় জানালার গ্রিলের সামনে দাঁড়িয়ে তাতে ধরে আস্তে আস্তে হাঁটু ভাঁজ করে বসার চেষ্টা করুন। আবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যান।

* বিছানায় সোজা হয়ে বসে তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা সামনের দিকে টানুন, ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিন।

 মেহেরুন-নেসা, ফিজিওথেরাপি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

Comments

Popular posts from this blog

বাড়ির নির্মাণে কত টুকু- রড, সিমেন্ট এবং ইটের প্রয়োজন

ভালো খাবার–মন্দ খাবার চেনেন তো?

ভারতের মুসলিমদের আশ্রয় দিক বাংলাদেশ-পাকিস্তান : তসলিমা